মাত্র ১৮ সেকেন্ড! চোখের পলকে শাড়ি পরিয়ে গিনিস বুকে নাম তুলেছেন কলকাতার এই শিল্পা! উপার্জন আকাশ ছোঁয়া

09:01 PM Dec 08, 2023 | Aaj Bikel News Desk

কলকাতা: সাধারণ গৃহবধূ হিসাবেই জীবন শুরু হয়েছিল তাঁর৷ কোনও দিন ভাবেননি এভাবে সাফল্য ধরা দেবে৷ একদিন দীপিকা পাদুকোন কিংবা আলিয়া ভাটের মতো বলিউড তারকাদের কাছের মানুষ হয়ে উঠবেন৷ নাম উঠবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে৷ জানেন কার কথা বলছি? তিনি আর কেউ নন, ডলি জৈন৷ 

আরও পড়ুন- শৈশব আর চলতি ফ্যাশনের মিশেল চাইছেন পুজোয়? সন্ধান মিলবে

একজন সাধারণ শাড়ি ড্রেপার হিসাবে পথ চলা শুরু হয়েছিল ডলির৷ আজ তাঁকে কে না চেনেন? জানেন শাড়ি পরাতে কতক্ষণ সময় লাগে ডলির? শুনতে অবাক লাগলেও চোখের পলকে এ কাজসারেন তিনি৷ সে কারণেই তো ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অধিকারী ডলি৷ 


বলিউড সেনশেসন দীপিকা পাড়ুকোন থেকে আলিয়া ভাট, একাধিক অভিনেত্রীর বিয়েতে তাঁদের শাড়ি পরিয়েছেন এই শিল্পী। বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেত্রী তাঁর ক্লায়েন্ট। তাঁদের একটাই আবদার, শাড়ি পরলে ডলির কাছেই। এমনকী আম্বানি পরিবারেও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে কলকাতার এই শাড়ি ড্রেপারের৷ মুকেশ আম্পানির কন্যা ইশা আম্বানির বিয়েতেও তাঁকে শাড়ি পরিয়েছিলেন ডলি। তাঁর হাতে শাড়ি পরেছিলেন মুকেশ-জায়া নীতা আম্বানিও। যে কোনও অনুষ্ঠান হলেই আম্বানি পরিবারের তরফে ডাক আসে তাঁর৷ 


কিন্তু শুরুর দিনগুলো কেমন ছিল? কখনও কী ভাবতে পেরেছিলেন একদিন তাঁর হাতের জাদুতে বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হবে? না তেমনটা কখনই ভাবেননি ডলি৷ তিনি এমন একজন গৃহবধূ ছিলেন, যে শাড়ি পরতে ও পরাতে ভালোবাসতেন৷  দ্রুত ও অবলীলায় অন্যকে শাড়ি পরিয়ে দিতে পারতেন৷ তাঁর হাতে শাড়ি পরে সকলে বেশ প্রশংসাই করতেন৷ 


একবার এক সাক্ষাৎকারে ডলি জানিয়েছিলেন, তিনি একজন বিয়ের কনেকে শাড়ি পরতে সাহায্য করেছিলেন৷ তাঁর ওড়নাটা এতটাই ভারী ছিল যে, তা সামলাতে অসুবিধা হচ্ছিল। ডলি বলেন, ‘‘আমি তাঁকে খুব সুন্দরভাবে ওড়নাটা ম্যানেজ করতে সাহায্য করি৷ ওই বিয়ে বাড়িতে আবু জানি সন্দীপ খোসলা আমার কাজ দেখেছিলেন। তা দেখে খুব ইমপ্রেসও হয়েছিলেন৷ এরপর তিনিই বলিউড তারকাদের কাছে আমার নাম রেকমেন্ড করতে থাকেন।’’ স্মৃতিতে ডুব দিয়ে এই কলকাতার এই শাড়ি ড্রেপার বলেন, ‘‘আমি যখন শ্রীদেবীকে শাড়ি পরিয়েছিলাম, তিনি বলেছিলেন আমার আঙুলে নাকি জাদু আছে। এটাকে একটি পেশা হিসেবে নিতেই পারে৷ তাঁর সেই কথা শুনেই প্রথমবার আমার মাথায় সেই পরিকল্পনা আসে৷" সেই থেকেই পথ চলা শুরু৷ পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি ডলিকে৷


তবে শুধু শাড়ি নয়, অন্যান্য পোশাকও পরাতে পারেন তিনি৷ তাই নিজেকে তিনি ‘শাড়ি ড্রেপার’ বলে উল্লেখ করেন না৷ নিজেকে মনে করেন ‘ড্রেপিং আর্টিস্ট৷’ তাঁর আঙুলে সত্যিই জাদু আছে৷ শাড়ি, শাল, চাদর, ধুতি বা ওড়না যাই হোক, তিনি খুব সুন্দর ভাবে তা ড্রেপ করতে পারেন। 

জানেন কত রকম ভাবে শাড়ি পরাতে পারেন ডলি? প্রথমে ১২৫ রকম ভাবে তিনি শাড়ি পরাতে পারতেন। তারপর ২২৫ এবং পরে ৩২৫ রকম কায়দায় শাড়ি পরিয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। লিমকা বুক অফ রেকর্ডসেও তার উল্লেখ রয়েছে।  শোনা যায়, শাড়ি পরানোর জন্য ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন ডলি জৈন৷  আর একটি শাড়ি পরাতে মাত্র ১৮.৫ সেকেন্ড সময় নেন এই শিল্পী। এত দ্রুত শাড়ি পরিয়েই গড়েছেন রেকর্ড৷