+

শুভেন্দু নয়, নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ করার একমাত্র অধিকার আছে বাম-কংগ্রেসের!

শুভেন্দু নয়, নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ করার একমাত্র অধিকার আছে বাম-কংগ্রেসের!

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে নজিরবিহীন রায় দিয়েছে তাতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য তথা দেশজুড়ে। এরপরই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করতে শুরু করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি পর্যন্ত করেছেন। প্রবল গরমের মধ্যে এই ইস্যুতে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়ছে। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় যদি চিন্তা করা যায় তাহলে প্রশ্ন উঠবে, নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবাদ করাটা শুভেন্দুর কতটা সাজে?

ঘটনা হল প্রায় দুই দশক তিনিও তৃণমূলে ছিলেন। বিধায়ক, সাংসদের পাশাপাশি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সামলেছেন। পেয়েছেন আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ পদ। যবে থেকে নিয়োগ দুর্নীতি শুরু হয়েছিল রাজ্যে তখন তো তিনি তৃণমূলেই ছিলেন। তাই প্রশ্ন উঠছে তিনি কী দুর্নীতি হচ্ছে তা জানতেন না? শুভেন্দুর মতো সাংগঠনিক নেতার যোগাযোগ সব মহলে থাকে। সেই সূত্রে রাজ্য জুড়ে যে বিভিন্ন দুর্নীতি মাথাচাড়া দিয়েছে সেটা তো তাঁর জানা উচিত ছিল। অথচ এখন তিনি প্রবল ভাবে তৃণমূলের মন্ত্রিসভার পাশাপাশি সর্বস্তরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। এটা কী তাঁর সাজে? তাঁর এই অবস্থান কতটা সঠিক? এই প্রশ্ন কী ওঠা উচিত নয়?

সেই জায়গা থেকে সুদীর্ঘ বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগে সামান্যতম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। বাম আমলেই এসএসসি বোর্ড তৈরি হয়েছিল শিক্ষক নিয়োগের জন্য। প্রতি বছর নিয়ম করে পরীক্ষা হতো। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে সেই বছরগুলিতে। হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি পেয়েছেন।

একই ভাবে কংগ্রেস আমলেও শিক্ষা বা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির বলার মতো কোনও অভিযোগ ওঠেনি এই রাজ্যে। তাই সব দিক বিচার করে এটা বলতেই হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর তুলনায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাম-কংগ্রেসের তৃণমূল বিরোধিতার অনেক বেশি যৌক্তিকতা রয়েছে। হতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে তারা আজ তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। তবে প্রধান বিরোধী শক্তি না হলেও সম্মানের নিরিখে তারা কিন্তু সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে, এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক মহল। রীতিমতো মাথা উঁচু করে তারা রাজনীতিটা করতে পারছে। এটাই বা কম কীসের?

facebook twitter